শেয়ার বিজ ডেস্ক: এবার নেদারল্যান্ডসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এদুইন ভেগেনসভালদ নামের এক ব্যক্তি হেগে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে প্রকাশ্যে কোরআনের কয়েকটি পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।
তুর্কিভিত্তিক গণদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, গত শনিবার নেদারল্যান্ডসে তুর্কি দূতাবাসের সামনে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের একটি অনুলিপি ছিঁড়ে ফেলেন (পিইজিআইডিএ) নামের ইসলামধর্মবিদ্বেষী দলটির নেতা। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, কোরআনের পাতা ছিঁড়ে পায়ের নিচে রাখেন। কেন এই কাজ করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে ধর্মগ্রন্থ অবমাননায় তাকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তুরস্ক। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আঙ্কারা এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের জন্য ক্ষুব্ধ। আমরা বাক-স্বাধীনতার নামে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করছি। যেসব দেশ এমন ঘটনার জন্য দায়ী, তারা এগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
তুরস্ক ইতোমধ্যে ডাচ কর্তৃপক্ষকে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছে। স্পিকার আকিফ কাগাতায় বলেন, এ ধরনের অসুস্থ কর্মকাণ্ডের জন্য দেশগুলো এবং তাদের শাসকদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
এর আগে সুইডেন ও ডেনমার্কে প্রকাশ্যে কোরআন শরিফে আগুন দেয়ার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায় আরব দুনিয়ায়। এমন জঘন্য ঘটনায় পশ্চিমাদের দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্ক, কাতার ও ইরানের প্রেসিডেন্ট। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনেও কোরআন পোড়ানোর প্রসঙ্গে টেনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। নেতারা বলেন, কোরআন অবমাননা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এর মধ্যেই নেদারল্যান্ডসে এ ঘটনা ঘটল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও ধর্মগ্রন্থ অবমাননার বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়। ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোসহ বিভিন্ন মুসলিমপ্রধান দেশ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছিল। এ নিয়ে ৫৭ সদস্যের অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের জরুরি বৈঠকও হয়।
