সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পোশাক খাতের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহসিন রপ্তানির জন্য একাধিকবার সিআইপি খেতাবপ্রাপ্ত হন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সাদ মুসা গ্রুপের একাধিক প্রতিষ্ঠান একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি তালিকায় স্থান পায়। এবার এ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাদ মুসা ফ্রেবিক্স-০২ এবং রোকেয়া স্পিনিং মিলস প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখায় ৪৬৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। আর এ খেলাপি পাওনা আদায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বন্ধকিতে থাকা সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতে মামলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, আগামী ১২ অক্টোবর ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় হবে। এতে আগ্রহীরা উপস্থিত হয়ে দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাদ মুসা গ্রুপ ও ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা জানায়, খেলাপি ঋণ বিষয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে শেয়ার বিজকে বলেন, সাদ মুসা গ্রুপের একাধিক প্রতিষ্ঠান আমাদের ঋণখেলাপি। তাদের কাছে খেলাপি পাওনার পরিমাণ প্রায় ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ আদায়ে চেক প্রত্যাখ্যানের একাধিক মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অর্থঋণ আদালতে মামলাও করেছে। তিনি ব্যাংকের লোন শোধ করবেনÑএমন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে সাদ মুসা গ্রুপের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে নেই।
ঋণখেলাপি বিষয়ে সাদ মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহসিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ, চলতি বছরের ঢাকা ব্যাংকে সাদ মুসা গ্রুপের এম এ রহমান ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড খেলাপি। তাদের কাছে খেলাপি পাওনার পরিমাণ ৭৪ কোটি টাকারও বেশি। ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখায় চলতি বছরের জুন মাসে সাদ মুসা গ্রুপের সাদ মুসা হোমটেক্স অ্যান্ড ক্লথিং লিমিটেড, মাহমুদ সাজিদ কটনস লিমিটেড, এমদাদ এতিমিয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং রোকেয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেডের খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট এক হাজার ১৮৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে। অন্যদিকে এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সাদ মুসা গ্রুপের সায়মা সামিরা টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে নেয়া ঋণ গত ৫ জুন ব্যাংকটিতে খেলাপি হয়ে পড়েন। এ সময়ে খেলাপি পাওনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৫ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
