শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহযোগী হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ পরিচালক হোপ হিকস পদত্যাগ করেছেন। তিনি ট্রাম্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন ছিলেন বলে মনে করা হয়, যিনি তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সেটি পাল্টাতেও পারতেন। তাকে ‘হোপস্টার’ নামে ডাকতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৫ সাল থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন ২৯ বছর বয়সী সাবেক এ মডেল। খবর বিবিসি।
নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হিকস বলেছেন, হোয়াইট হাউজ থেকে যা কিছু পাওয়ার তার সবই পেয়েছেন তিনি। তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, তিনি কখন প্রশাসন থেকে বিদায় নেবেন সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। এর আগে গত মঙ্গলবার হাউজ ইনটেলেজেন্স কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। খবর বেরিয়েছে, কমিটির কাছে কখনও কখনও ট্রাম্পের পক্ষে নির্দোষ মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেছেন হিকস।
তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে কোনো অসত্য বলার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সম্পর্ক বিষয়ে এ তদন্তে হোপ হিকস গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে গৃহ নির্যাতনের অভিযোগে পদত্যাগ করা হোয়াইট হাউজের কর্মী রব পোর্টারের ঘটনায় তার নাম সামনে আসে। সে সময় হিকস পোর্টারের সঙ্গে প্রেম করছিলেন বলেও খবর বেরিয়েছে। পোর্টারের পক্ষে সাফাই গেয়ে একটি প্রাথমিক স্টেটমেন্টও তৈরি করেছিলেন হিকস, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল বলে জানা গেছে।
গত নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করা হোপ হিকসকে হোয়াইট হাউজের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর বা যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে এ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
হোপ হিকস একটি বেসরকারি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, যেটি ইভানকা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্রান্ড ও ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখাশোনা করে। ২০১৪ সালে হিকস ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দিলে পরের বছরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে নির্বাচনী প্রচারণা দলে যুক্ত করেন। যদিও তার রাজনৈতিক কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।