Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 10:25 pm

এবার সর্বনিন্ম ফিতরা ৭৫ টাকা সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রতি সর্বনিন্ম ৭৫ সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা হারে ১৪৪৩ হিজরি সনের সাদকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি। গতকাল শনিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মো. রুহুল আমিন।

গত বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিন্ম ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার আগের বছরে ছিল জনপ্রতি সর্বোচ্চ দুই হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বনি¤œ ৭০ টাকা।

সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, ইসলামি শরিয়াহ্মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির, যব ইত্যাদি পণ্যের যে কোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যায়।

আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’বা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ৭৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ৩০০ টাকা, গম দিয়ে আদায় করলে অর্ধ সা’বা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ৭৫ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য এক হাজার ৪২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে উপরোক্ত ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোনো একটি বা এর বাজারমূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, জামিয়া শরিয়াহ্ মসজিদের মুহাদ্দিস মুফতি আবদুস সালাম, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, যাত্রাবাড়ী কওমি মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী, মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম প্রমুখ।