শেয়ার বিজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ও ইরানের জনগণের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ ব্যক্তি ও কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইরান। খবর: আল জাজিরা।
গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান এক ঘোষণায় জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে ৯ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেনÑমার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ ও ইরাকে মাল্টি-ন্যাশনাল ফোর্সের কমান্ডিং জেনারেল জর্জ ডব্লিউ ক্যাসে জুনিয়র, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডারের সাবেক কমান্ডার জোসেফ ভোটেল, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাটর্নি রুডি গিউলিয়ানিসহ ফিলিস্তিন ও লেবাননে নিযুক্ত সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিক এ তালিকায় রয়েছেন।
মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের কারণে আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই তালিকায় ট্রাম্প ও ওবামা প্রশাসনের সময় ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও প্রসারিত করতে যারা সহায়তা করেছিলেন তাদের যুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওবামা প্রশাসন তার শাসনামলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশটির ওপর বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে আসে এবং নতুন করে আরও বিধিনিষেধ আরোপ করে। তাদের ধারাবাহিকতায় বর্তমান বাইডেন প্রশাসনও এ নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও বড় করে।
এর আগে ইরানও দুইবার যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ও কূটনৈতিকরা। এবারের নিষেধাজ্ঞায় মূলত ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যায় জড়িতদের আনা হয়েছে। এই ব্যক্তিরা ইরানে ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত মাসের মাঝামাঝি ইরাকে ১২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। এরপর ইরানের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও এক নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।