নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ইউনিট স্থাপন এবং তিনটি সহযোগী কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি এমআই সিমেন্ট ফ্যক্টরি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানির বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ইউনিট (ষষ্ঠ) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কভিড-১৯-এর কারণে আন্তর্জাতিক ঠিকাদারদের সঙ্গে প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক আলোচনা বাতিল হয়েছে। এছাড়া করোনা মহামারির কারণে সিমেন্টের চাহিদা কমে গেছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অর্থনীতির বিশেষ পরিবর্তন না হলে সিমেন্টের চাহিদা কম থাকবে। এজন্য নতুন ইউনিটের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি বিদ্যমান সিমেন্ট চাহিদা পূূরণের জন্য কাজ করবে।
একইসঙ্গে শিপিং ব্যবসার জন্য তিনটি সহযোগী কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে কোম্পানিটি। এজন্য এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরির মালিকানাধীন তিনটি বড় জাহাজ সহযোগী কোম্পানিগুলোকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় জাহাজ তিনটি এমআই সিমেন্টের সম্পদ হিসেবে থাকবে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে আট হাজার ৯১৫টি শেয়ার মোট ৪৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৬ টাকা থেকে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৭ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁডিয়েছে ৪৮ টাকা ২২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ১৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৪৫ পয়সা ও ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা।