এমপক্স ভ্যাকসিন কিনবে ইউনিসেফ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমপক্স ভ্যাকসিন কেনার জন্য জরুরি দরপত্র আহ্বান করেছে। যেসব দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, তাদেরকে সহায়তার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খবর: এএফপি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ও আফ্রিকা সিডিসির (সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) সঙ্গে যৌথভাবে ইউনিসেফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এখন এমপক্স প্রতিহত করার জন্য যেসব ভ্যাকসিন আছে, সেগুলো যাতে শিগগির সবার কাছে পৌঁছানো যায় এবং একই সঙ্গে, উৎপাদন যাতে আরও বাড়ানো যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, চাহিদা, উৎপাদন সক্ষমতা, অর্থায়ন ও চুক্তিসাপেক্ষে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে এক কোটি ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা করেছে ইউনিসেফ।
জরুরি দরপত্রের আওতায় ইউনিসেফ বিশেষ শর্তে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরবরাহ চুক্তি করবে। এই দরপত্র ও চুক্তির আওতায় আক্রান্ত দেশ ও অংশীদাররা অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারলেই ইউনিসেফ কোনো বিলম্ব ছাড়াই ভ্যাকসিন কিনে সেখানে সরবরাহ করতে পারবে। দেশটিতে ভ্যাকসিন পাঠানোর আইনগত বাধা থাকলে সেটা আগে থেকেই সমাধান করা হবে।

এ বছর আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় এমপক্সের (আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত) নতুন স্ট্রেইন (ধরন) ক্লেড ১বি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর প্রতিবেশী দেশগুলোয়ও অনেকে এতে আক্রান্ত হয়। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরবর্তীকালে গত ১৪ আগস্ট এমপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এখন পর্যন্ত কঙ্গোয় ১৮ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬২৯ জন। ডব্লিউএইচও সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, এমপক্স নিয়ন্ত্রণের উপায় জানা আছে এবং এটি কভিড-১৯-এর মতো মহামারিতে রূপান্তরিত হবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক ডিরেক্টর হ্যানস ক্লুগে জানিয়েছিলেন, আমরা এমপক্স সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। আমরা জানি, আমরা একসঙ্গে মিলে এমপক্স নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০