এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা গতকাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছেনÑএ বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম নেওয়া হবে।
গতকাল সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করতে ইতোমধ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ জারির কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ নীতিমালা অনুসরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিধিমতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সুপারিশ করতে হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের মূল বেতন সরকার দিয়ে থাকে।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলতি অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি শর্ত দিয়ে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে আলাদা বরাদ্দ রাখার কথা জানালেও বাজেটে এমপিও নিয়ে কোনো ঘোষণা না থাকায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন ননএমপিও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। কয়েকদিন ধরে তারা রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই অবস্থান করে তাদের দাবির কথা জানিয়ে আসছেন।
মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও কার্যক্রমের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এমপিওভুক্তিকে ‘খারাপ কার্যক্রম’ হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এতে শুধু কিছু শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নে এটা কোনো ভালো কার্যক্রম নয়।
গতকালের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মিয়ানমারের ১১ লাখের ওপর রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে স্থান দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বহু উন্নত দেশ শরণার্থী আশ্রয় দিতে না চাইলেও আমরা সেখানে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা, কাজের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা এত সুশৃঙ্খলভাবে করেছি, যেটা বিশ্বের কাছে একটি বিস্ময়।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এটা নিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনাও করে যাচ্ছি। মারামারি-কাটাকাটি করছি না। আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে এদের ফেরত দিতে চেষ্টা করছি। সে কারণে সবাই এখানে দেখতে আসছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০