Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 3:24 pm

এমবাপে আতঙ্কে উরুগুয়ে

ক্রীড়া ডেস্ক: স্প্রিন্টারদের মতো গতি। আর গোল করার নেশা। অন্যদের চেয়ে এবারের বিশ্বকাপে এ দুটি দিক দিয়ে এগিয়ে কিলিয়ান এমবাপে। এরই মধ্যে মাঠের ফুটবলেও এর ছাপ রেখেছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতা কোয়ার্টার ফাইনালেও ধরে রাখতে চান ফ্রান্সের এ ফরোয়ার্ড। এমনটাই জানিয়েছেন সতীর্থ মিডফিল্ডার বেইস মাতুইদি। তেমনটা হতে দিতে চায় না উরুগুয়ে। এমবাপেকে আটকানোর ছক আঁকছে লুইস সুয়ারেজদের উরুগুয়ে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিয়েগো লাক্সলাটও জানিয়েছেন, এমবাপেকে আটকাতে উরুগুয়ের যথেষ্ট শক্তিশালী রক্ষণভাগ রয়েছে। এরপরও কিন্তু প্রশ্নটা মোটা দাগের থেকে যাচ্ছে, আসলেই কি এমবাপেকে থামাতে পারবে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা?
বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টায় সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিজনি নোভগ্রাদে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও উরুগুয়ে। কিন্তু তার আগেই এ দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন এমবাপে নামের এক ঝড়। কিন্তু তাতে দমে যাচ্ছে না উরুগুইয়েন ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বার্সেলোনার এ ফরায়ার্ড এ নিয়ে বলেছেন, ‘সবাই জানে এমবাপে একজন ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু আমি মনে করি তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের দুর্দান্ত একটি রক্ষণভাগ আছে।’
সুয়ারেজের কথার সঙ্গে দারুণ মিল পাওয়া যায় উরুগুয়ের রক্ষণে। এখন পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচে মাত্র ১ গোল হজম করেছে দিয়েগো গদিন-হোসে মারিয়া হিমেনেসরা। তবে উরুগুয়ের শক্ত রক্ষণ ভেঙে এমবাপে সফল হবেন বলে বিশ্বাস মাতুইদির। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিনের অনুশীলনে তাকে (এমবাপে) দেখে আমি আপনাদের বলতে পারি যে এমনকি ছোট জায়গাতেও সে শক্তিশালী। তাকে মার্ক করা কঠিন। সে সবচেয়ে ছোট জায়গার মধ্য দিয়েও বেরিয়ে যেতে পারে। বল পায়ে বা বলের জন্য ছোটার সময়ে সে যেভাবে নিজের ছন্দ পরিবর্তন করে তা খুবই প্রাণবন্ত। সে অর্থে সে খুবই আকর্ষণীয় একজন খেলোয়াড়।
মাতুইদি অবশ্য প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন। তিনি বলেন, ‘উরুগুয়ে একটা কঠিন দল যারা প্রতিপক্ষের জন্য কোনো জায়গা ছাড়ে না, সে জায়গা বের করে নিতে পারবে। আমরা তাকে বিশ্বাস করি।’
কোয়ার্টারে ফাইনালে নামার আগে উরুগুয়ে শিবিরে হানা দিয়েছে চোট। তাতে আক্রান্ত হয়েছেন তারকা ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানি। পর্তুগালের বিপক্ষে তিনি পেশীর চোটে পড়েছিলেন। যে কারণে আজ তার মাঠে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে অবশ্য পরিসংখ্যান কথা বলছে উরুগুয়ের হয়ে। এর আগে বিশ্বকাপে উরুগুয়ে ও ফ্রান্সের দেখা হয়েছে তিনবার। ১৯৬৬ সালে গ্রুপপর্বের এক ম্যাচে প্রথম দেখায় ২-১ গোলের জয় লাতিন পরাশক্তিদের। পরের দুই ম্যাচ হয়েছে গোলশূন্য ড্র। পাঁচ বছর আগে মন্তেভিদেওতে দুই দলের শেষ দেখা হয়েছিল এক আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। ওই ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে স্বাগতিক উরুগুয়ে। তবে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলের হারিয়ে আজ নবোদ্যমে নামতে মরিয়া ফ্রান্স।