Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:48 am

এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের ইপিএস কমেছে ৯ পয়সা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৯ পয়সা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৯ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুন ছিল ২৪ টাকা ৯ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ২২ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৬ টাকা ৪২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় কারখানা প্রাঙ্গণে (১৮৪/১ তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ২৭ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৭৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৮১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৭৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০৩ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১০ হাজার ৫৩৪টি শেয়ার মোট ৪৩৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৪৪৮ টাকা থেকে ৯২২ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ২৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার।