Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 12:26 pm

এমসিকিউ তুলে দেওয়ার সুপারিশ সরকারি দলের

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পাবলিক পরীক্ষায় এবার এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পক্ষে অভিমত দিল আওয়ামী লীগ। দলটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদকসহ সরকার পক্ষের সাত প্রতিনিধি শিক্ষা বোর্ডগুলোতে আলাদা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি চালু করার পক্ষে সুপারিশ করেছেন। পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে বাড়তি চাপ কমানোরও সুপারিশ করেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকে এ অভিমত দেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা।

আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের বাকি সদস্যরা হলেন অধ্যাপক প্রিয়ব্রত পাল, অধ্যাপক ড. পিএম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিম, ড. একেএম সালাহউদ্দিন, ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান। গত এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগ ওঠার পর সরকারি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর এটাই প্রথম বৈঠক। সরকারি দলের পক্ষে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার কথা বলার আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন একই অভিমত দিয়েছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবারের বৈঠকে সরকারি দলের প্রতিনিধিরা বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতির কারণে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে এই পদ্ধতি তুলে দিতে হবে। সৃজনশীল পদ্ধতির লেখাপড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমানোর বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। বিজিপ্রেসের কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। জনবল কমিয়ে আনতে প্রয়োজনে অটোমেটিক পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ছাপার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা উচিত। প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রেস স্থাপন করা যায় কি না, তাও ভেবে দেখা যেতে পারে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যারা প্রশ্ন করেন এবং প্রশ্ন মডারেট করেন, তাদের প্রয়োজনে বদলাতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা সুপারিশ করেন প্রশ্নপত্রের আট থেকে দশটি সেট ছাপানোর এবং সম্ভব হলে এসব সেটে পরীক্ষা নেওয়ার। অঞ্চলভেদে সব সেটে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখার কথা জানান তারা। এছাড়া সিলেবাস পরিবর্তন করে সৃজনশীল পদ্ধতিতে লেখাপড়ার চাপ কমানোর উপায় খুঁজে দেখার আহ্বান জানান প্রতিনিধিরা।

বৈঠকের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি মতবিনিময় সভা। তারা এসেছেন পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে। বৈঠকে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তাতে তারা সন্তুষ্ট।’