নিজস্ব প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এক্সচেঞ্জ কমিশনে কোম্পানিটির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) না দিয়ে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে বলে সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
মূলত ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না। আর এ সংক্রান্ত রেকড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ মার্চ। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সা, ২০১৮ সালে এক টাকা ৯৬৭ পয়সা এবং ২০১৯ সালে এক টাকা ১৪ পয়সা শেয়ারপ্রতি লোকসান গুনেছে কোম্পানিটি।
২০১৭, ১৮ এবং ১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য হারে লোকসানের কারণ হিসেবে জানিয়েছে, যেহেতু অফিস ডেকোরেশন বাবদ ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৬ টাকা, যানবাহন বাবদ ১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৪ টাকা, সিকিউরিটি ডিপোজিট-গোডাউন বাবদ ৮ লাখ টাকা, সিকিউরিটি ডিপোজিট-অফিস স্পেস ৯ লাখ ১ হাজার ৭০ টাকা এবং ইনভেন্টরি বাবাদ ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৪ টাকার কোনো অস্তিত্ব নেই এবং এগুলো ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, যেহেতু সৈয়দ হাসিবুল গনি গালিব বা অন্য কোনো পক্ষের কাছ থেকে ১ জুলাই ২০১৭ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো সংগ্রহ পাওয়া যায়নি, তাই প্রাপ্যের সম্পূর্ণ পরিমাণ ১৫৫ কোটি ৬৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ টাকা খারাপ এবং সন্দেহজনক ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। অধিকন্তু, এপ্রিল ২০১৭ থেকে গুরুতর অনিয়মের কারণে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এমারাল্ড অয়েল কোম্পানি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৫ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর মাত্র তিন বছর শেয়ারহোল্ডোরদের জন্য লভ্যাংশ দিয়েছে। অর্থাৎ ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য যথাক্রমে ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস, ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল তিন টাকা ৩৩ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৭ টাকা ২৩ পয়সা।
আগের হিসাববছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল তিন টাকা ১০ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি এনএভি ছিল ১৬ টাকা ২৯ পয়সা।