নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের করপোরেট ডিরেক্টর মিনোরি বাংলাদেশেরে কাছে থাকা তিন কোটি ৬২ লাখ ২৫ হাজার ৪টি শেয়ারের মধ্যে ১০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার বিক্রি করবে প্রতিষ্ঠানটি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ১৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৪ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা (ঘাটতি)। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২১ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭ পয়সা (ঘাটতি)।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে কেবল সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের হিসাববছর যা ছিল ১৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩৭ পয়সা (ঘাটতি), আগের হিসাববছরের একই সময় যা ছিল ১২ টাকা ৮৫ পয়সা (ঘাটতি)। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে তিন পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি তার শেয়ারহোল্ডারদের (উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত) দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৭ পয়সা। আর ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১২ টাকা ৮৫ পয়সা (ঘাটতি)। আর আলোচিত ওই হিসাববছরে কোম্পটানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বা ২ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৭০ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন ৮ লাখ ১৪ হাজার ২৮১ শেয়ার মোট এক হাজার ৮১৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।