নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ইপিএস কমেছে এক টাকা নয় পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে তিন পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে এক টাকা ১২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ এক বছরের ইপিএস কমেছে এক টাকা ৯ পয়সা।
অন্যদিকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ১৭ টাকা ২৬ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ১৭ টাকা ২৩ পয়সা ছিল। এক বছরে এনএভি ২৩ পয়সা কমেছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৩৩ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৮২ পয়সা ও ১৬ টাকা ২৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ৩১ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর আইডিইবি ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে (১৬০/এ কাকরাইল ভিআইপি রোড) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে দুই দশমিক ৫২ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৩২ হাজার ৮০৫টি শেয়ার ৫৯৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি সাত লাখ ২৭ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮০ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৪ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ১০ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৩৯ পয়সা ও ১৪ টাকা ২৬ পয়সা। ওই সময় কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা করছে ১৫ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল আট কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানির পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ৮৫ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও ৫৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
Add Comment