নিজস্ব প্রতিবেদক : আকাশপথের ভিসায় স্থলপথে ভারত ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন। গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে বিমান পথের ভিসার যাত্রীদের স্থলপথে না পাঠাতে অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে ওইদিন মেডিকেল ভিসা নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া শতাধিক বাংলাদেশি যাত্রীকে সন্ধ্যায় ফেরত দিয়েছে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। ফেরত পাঠানো প্রত্যেক যাত্রীদের ভিসায় উল্লেখ ছিল ‘বাই এয়ার’।
ওপারের ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লি থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে ভিসায় ‘বাই এয়ার’ উল্লেখ থাকলে কাউকে স্থলপথে গ্রহণ করা হবে না।
কভিডের সময় বিমান বন্ধ থাকায় বাই এয়ারের ভিসাধারীদের বেনাপোল স্থলপথে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ভারত। উভয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র প্রদান করতেন। বৃহস্পতিবার বিকালে আকস্মিকভাবে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীদের আটকে দেয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের যাত্রী কামরুজ্জামান বলেন, তার স্ত্রী সন্তানদের ভিসা হরিদাসপুর লেখা থাকায় তাদের ইমিগ্রেশন ছাড়পত্র দিয়েছে। অথচ অনেক অনুরোধ করেও বাই এয়ার ভিসার কারণে তাকে ভারতে যেতে দেয়া হয়নি।
বেনাপোলে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রাজু আহম্মেদ বলেন, বিমান পথের ভিসার যাত্রীদের মানবিক কারণে স্থলপথে ভারতে ঢুকতে দিচ্ছিল পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারা এখন থেকে এমন যাত্রীদের স্থলপথে না পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছে। সারাদিনে আটকে থাকা শতাধিক যাত্রীদের সন্ধ্যার পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। শুক্রবারও বেনাপোল থেকে ফিরে গেছে অনেকে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও শিক্ষা ভিসায় যাত্রীরা ভারত যাচ্ছেন। টুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত বন্ধ আছে। ভারত থেকে ফিরতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কভিড পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ লাগছে। তবে যাদের কভিডের ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণ করা নেই তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া যাদের শরীরে কভিড উপসর্গ আছে, সন্দেহ হলে তাদের র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন আটজনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তারা সবাই ছিল কভিড নেগেটিভ।