শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের আসন রংপুর-৩ এ উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তার ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ। গতকাল শনিবার দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যার পর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহতাব উদ্দিন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। খবর: বিডিনিউজ।
৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট। প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটারের এ আসনে পুরো ভোট গ্রহণ হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম); যাতে ভোট গণনার পর ফল ঘোষণা দ্রুত সম্ভব হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহতাব।
গত ১৪ জুলাই বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। নির্বাচন কমিশন ১ সেপ্টেম্বর আসনটিতে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে।
লাঙল ও ধানের শীষের প্রার্থী বাদে এ উপনির্বাচনে প্রার্থী হন স্বতন্ত্র মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটরগাড়ি), এনপিপির শফিউল আলম (আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) এবং গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ বায়েজীদ (মাছ)।
রংপুর সেনানিবাস, রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি সবগুলো নিয়ে এ আসনটিতে এবারও কেন্দ্র ছিল ১৭৫টি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহাতাব উদ্দিন বলেন, চূড়ান্ত ফলাফলে ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্ব^ী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ পেয়েছেন ১৪৯৮৪ ভোট। মোট ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে তিনি জানান।
রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
রিটা রহমানের অভিযোগ, ভোটে সবার সমান সুযোগ ছিল না। এ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্ব^ী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট।
