নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে দৈনিক গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৯৮ কোটি ঘনফুট। যদিও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির পর এ খাতে দ্বিগুণ গ্যাস সরবরাহের প্রত্যাশা করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে এলএনজি আমদানির প্রভাবে বাড়ানো হচ্ছে গ্যাসের দাম। শুধু বিদ্যুৎ খাতেই ২০০ শতাংশের বেশি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় অনেকটা বেড়ে যাবে।
এদিকে নতুন ১০টি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছর এসব কেন্দ্রের উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। এতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে। এর সঙ্গে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়াতে হবে বলে মনে করছে পিডিবি।
তথ্যমতে, গত ১৪ মে সারা দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাসের চাহিদা ছিল ১৯১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট। অথচ সেইদিন সরবরাহ করা হয় ৯৩ কোটি ৭৫ লাখ ঘনফুট। অর্থাৎ ১৪ মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ঘনফুট। চলতি বছর গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে এ ঘাটতি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে পিডিবি ও পেট্রোবাংলা।
এদিকে চলতি মাস থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি। আগামী অক্টোবরে আরও ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আসার কথা রয়েছে। এতে গ্যাসের বিদ্যমান ঘাটতি অনেকটাই কেটে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে আগামী সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমের জন্য দৈনিক গড়ে ১৮৬ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে পিডিবি। এলএনজি আমদানি থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে বলে এরই মধ্যে আশ্বাস দিয়েছে পেট্রোবাংলা, যদিও এলএনজির বাজারদর অনেক বেশি।
পেট্রোবাংলার সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজির দাম সাত ডলার হলে দেশীয় মুদ্রায় দাম পড়বে ১৯ টাকা ৭৮ পয়সা। এর সঙ্গে ব্যাংক চার্জ ২৫ পয়সা, আমদানির ওপর কাস্টমস শুল্ক, ভ্যাট ও এআইটি পাঁচ টাকা ৮৩ পয়সা। রিগ্যাসিফিকেশন ব্যয় পড়বে এক
এলএনজি আমদানির প্রভাবে বাড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ
