Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 2:12 pm

এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসের সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাগর উত্তাল থাকায় বিঘ্ন ঘটছে এলএনজি খালাসে। এতে প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাইপলাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। আগামী তিন দিন আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিকে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হবে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানিয়েছে, আগামী তিন দিন অর্থাৎ ১৬ জুন পর্যন্ত সাগরে বৈরী আবহাওয়া কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার ফলে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন বা স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) আলী মো. আল-মামুন জানান, জাহাজ এসে বসে আছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় আমরা এলএনজি খালাস করতে পারছি না। ফলে এখন জমানো গ্যাস দিয়ে চালাচ্ছি। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন আবহাওয়া খারাপ থাকবে। ফলে আমরা এলএনজি নামাতে পারব না। এ কারণে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এই তিন দিন ঘাটতি মেটাতে গ্যাস রেশনিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এলএনজি পাব না। গ্যাসের বড় ঘাটতি হবে। সেটি কীভাবে মেটানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করছি। সকালে উঠে মানুষকে নাশতা তো করতেই হবে। তাই আবাসিক ও বিদ্যুৎকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, আর সিএনজির বিকল্প তো তেল আছে। ফলে আমরা এসব বিবেচনা করেই রেশনিং করব আগামী তিন দিন।’

তিতাস জানায়, প্রতিদিন ১ হাজার ৭৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ ছিল। এ সরবরাহ এখন ১ হাজার ৬৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে আরও কম। গ্রাহক কম হওয়া সত্ত্বেও জালালাবাদ, কর্ণফুলী ও বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি বেশি সরবরাহ পাচ্ছে বলে অভিযোগ তিতাসের।

বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা জানান, তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় ১ হাজার ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা ১ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়ে আসছিলাম। এখন তা ১ হাজার ১৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। ফলে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত না হলেও খরচ কিছুটা বেড়েছে। গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি মোকাবিলায় ৭০০ মেগাওয়াট তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়েছে।