নিজস্ব প্রতিবেদক: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পল্লী উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা (কৃষি) উইংয়ের প্রধান আকমল সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রীর দফতরে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করে কৃষকরা যাতে কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, এডিবির পরামর্শ মতে বোরো ধান চাষের কারণে বাংলাদেশ খাদ্য-শস্য উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করলেও সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানি অতি ব্যবহারের ফলে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যা সামগ্রিক বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষকরা যথেষ্ট মেধাবী ও প্রশিক্ষিত। তারা জানেন, কোন জমিতে কী ফসল ভালো হবে। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি পুনরায় সনাতন খাদ্য-শস্য আউশ, আমনে ফিরে যাব। শুষ্ক মৌসুমে সেচ দিয়ে ধান উৎপাদন আমাদের জন্য এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাক্ষাৎকালে এডিবির পল্লী উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা (কৃষি) উইংয়ের প্রধান আকমল সিদ্দিক জানান, এডিবি বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে পানির ব্যবহার সাশ্রয়, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি যাতে কমানো যায় সে জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তার বিষয়ে অবগত করেন।
এ সময়ে এলজিআরডিমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থা, কৃষিজ পণ্য বাজারজাতকরণ ও পরিবহনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক যোগাযোগ, ভৌত অবকাঠামো এবং সমবায় ব্যবস্থার বিষয়ে অবগত করেন।
সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, এডিবির প্রাকৃতিক সম্পদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞ মো. আবুল বাশার, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিআরএমের দলনেতা জহির উদ্দিন আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।