শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চীনকে চ্যালেঞ্জ করতে যাচ্ছে ভারত। খুব শিগগিরই ভারত চীনকে টপকে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জ্বালানি আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত তথ্যদাতা সংস্থা থমসন রয়টার্স এইকন। ভারতে রান্নার জন্য কাঠ ও গোবরের জ্বালানির পরিবর্তে গ্যাসের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে, ভারতে চলতি ডিসেম্বর মাসে জ্বালানি গ্যাসের আমদানির পরিমাণ দুই দশমিক চার মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ চীনের এ সময়ে আমদানির পরিমাণ দুই দশমিক তিন মিলিয়ন টন।
২০১৫ সালের পর থেকে ভারতে প্রতিমাসেই জ্বালানি গ্যাসের আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানির জন্য কাঠ কিংবা গোবরের ব্যবহার কমাতে গরিব মান্ষুকে সস্তায় জ্বালানি দেওয়ার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এজন্য সেখানে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদাও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডোরিয়ান এলপিজির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার টেড ইয়াং জানিয়েছেন, ভারতে প্রবৃদ্ধির হারটা অসাধারণ। ২০১৫ সালে সেখানে ভর্তুকির মাধ্যমে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করতে পারতেন ১৪০ মিলিয়ন মানুষ। এখন সে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮১ মিলিয়নে। ২২টি ট্যাংকারবহর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডোরিয়ান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলপিজি পরিবহন কোম্পানি।
প্রোপেন ও বিউটেন মিশ্রিত এলপিজি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জ্বালানি ও যানবাহনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পেও এ গ্যাসের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ মিলিয়ন টন এলপিজি গ্যাসের বাণিজ্য হয়।
২০১৭ সালে ভারতে প্রতি মাসে গড়ে এক দশমিক সাত মিলিয়ন টন এলপিজি গ্যাস আমদানি করা হয়েছে। যা প্রধান আমদানিকারণ চীনের দুই দশমিক দুই মিলয়ন টনের তুলনায় এখনও কম। তবে প্রায় এক মিলিয়ন টন আমদানি করা জাপানকে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে ভারত।
চীন, ভারত ও জাপান বছরে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক এলপিজি গ্যাসের আমদানিকারক। এ তিন দেশ বছরে সারা বিশ্বের মোট বিক্রীত এলপিজি গ্যাসের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ সংগ্রহ করে থাকে।