নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলার সরবরাহ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি বা ঋণপত্র খোলা বাড়িয়েছে। গত মে মাসে ব্যাংকগুলো ৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার এলসি খুলেছে, যা ২৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। মে মাসে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সরবরাহ কিছুটা বাড়াতে ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বাড়িয়েছে। এলসি খোলা বাড়লে সাধারণত ঋণের চাহিদাও বাড়ে। ঋণের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
চলতি মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১০ শতাংশ, যা আগের মুদ্রানীতিতে ছিল ১১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মে শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকায়, যা ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত ছিল ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি খাতে ঋণ
বেড়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এপ্রিলে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর পর থেকে টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে অক্টোবরে কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ হয়েছিল; এরপর ফের নভেম্বরে কমে যায়। যদিও ডিসেম্বরে নভেম্বরের তুলনায় মার্জিনাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি বছরের আবার তা কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। ফেব্রæয়ারি ও মার্চে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১০ শতাংশ ছাড়ালেও এপ্রিলে আবার তা নেমে যায়। এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি হয় ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি খাতের ঋণের বড় অংশ ব্যয় হয় আমদানিতে। তবে ডলার সংকটের কারণে এতদিন চাহিদামতো এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসয়ীরা। এখন পরিস্থিতি একটু উন্নতি হওয়ার কারণে এলসি খোলা বেড়েছে। এতে করে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে।