ক্রীড়া ডেস্ক: ফুটবলপ্রেমীরা আশায় ছিলেন স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা মুখোমুখি হবে। এর ফলে নতুন বছরের শুরুতেই দেখা যাবে প্রথম এল ক্লাসিকো। কিন্তু গত পরশু এ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিকোর কাছে ৩-২ গোলে বার্সেলোনা হেরে যাওয়ায় তা আর হচ্ছে না। তার মানে স্পেনের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যেকার লড়াইয়ের অপেক্ষা বাড়াল কাতালানরা। তাতে বেশ হতাশই হয়েছেন ন্যু-ক্যাম্পের ক্লাবটির সমর্থকরা।
সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেছনে পড়েছিল বার্সেলোনা। তবে লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে সমতায় ফিরতে খুব একটা দেরি করেনি কাতালানরা। এর কিছুক্ষণ পরই ন্যু-ক্যাম্পের দলটিকে এগিয়ে দেন আতোয়ান গ্রিজমান।
কিন্তু শেষদিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালে বল পাঠিয়ে অসাধারণ এক জয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় দিয়েগো সিমেওনের দল। এরআগে চার দলের প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনালে ভালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। আগামীকাল একই মাঠে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে মাদ্রিদের দল দুটি।
অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে গত পরশু বার্সেলোনা এগিয়ে যেতে পারতো ম্যাচের ২২তম মিনিটে। কিন্তু জর্দি আলবার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে মেসির নেওয়া শট ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। এদিকে ৩২তম মিনিটে ভাগ্য সঙ্গে থাকায় গোল হজম করতে হয়নি কাতালানদের। পাঁচ মিনিট পর লুইস সুয়ারেসের ভালো একটি শট প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে ফিরলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিকো। আনহেল কোররেয়ার ডি-বক্সে বাড়ানো বল ধরে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় নিচু শটে গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকে। তবে দলটির আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি মেসি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ তারকা সুয়ারেজের ছোট পাস ধরে দুজনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন।
৬২তম মিনিটে গ্রিজমানের সৈজন্যে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। আলবার ক্রসে সুয়ারেজের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক, কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল লাফিয়ে হেডে ফাঁকা জালে পাঠান ফ্রান্সের এ তারকা। এদিকে ৭৫তম মিনিটে জালে বল পাঠান পিকে; তবে এবার ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
বার্সেলোনার গোল মিসের সুযোগে ৮১তম মিনিটে মোরাতার সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে অ্যাথলেটিকো। পাল্টা আক্রমণে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ভিতোলোকে ঠেকাতে গিয়ে গোলরক্ষক নেতো ফাউল করে বসলে পেনাল্টিটি পায় সিমেওনের দল। এদিকে কাতালান শিবিরে ৮৬তম মিনিটে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন কোররেয়া। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল ধরে দ্রুত এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। যে কারণে ৩-২ গোলে হেরে হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় কাতালানদের।