শেয়ার বিজ ডেস্ক:পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো নিজেদের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য চীনকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। এশিয়ায় ন্যাটোর সম্প্রসারণ হলে কঠোর জবাব দেয়ার হুমকিও দিয়েছে দেশটি। খবর: আল জাজিরা।
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনের পর একটি ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কড়া ভাষায় ন্যাটো নেতারা বলেন, চীন নিজের উচ্চাকাক্সক্ষা ও শক্তিপ্রদর্শনমূলক নীতি
দ্বারা জোটের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও মূল্যবোধের জন্য হুমকি তৈরি করছে।
এই ঘোষণায় ৯০টি ভিন্ন পয়েন্ট রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চীন ও রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব গভীর করতে লিপ্ত। উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয়ভাবে আইনের শাসনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থাকে দুর্বল করতে চাইছে।
ন্যাটো নেতারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধের সমালোচনা করার জন্য।
জোটের এই অবস্থানের সমালোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা মিশন অভিযোগ করেছে, ন্যাটো ইচ্ছাকৃতভাবে চীনের অবস্থানকে বিকৃত করছে এবং দেশটির সুনামহানি করতে চাইছে।
এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা মিশন ন্যাটোর এই অবস্থানের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, আমরা দৃঢ়ভাবে এটি প্রত্যাখ্যান করছি। এতে বলা হয়েছে, এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে ন্যাটোর গতিবিধির বিরোধিতা করে বেইজিং। চীনের বৈধ অধিকার ও স্বার্থকে জটিলতায় ফেলেÑএমন যে কোনো পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেয়া হবে।
এই ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী গত মে মাসে জানিয়েছিলেন, এখনই ন্যাটোয় যোগ দেয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে টোকিওতেই প্রথম লিয়াজোঁ অফিস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ন্যাটোর।