এশিয়ার পুঁজিবাজারে প্রযুক্তি খাতে শেয়ারদর পতন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : মার্কিন সিনেটে বহু প্রত্যাশিত কর কর্তন বিল পাসের সুবাদে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোনস অ্যাভারেজ সূচক রেকর্ড সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়। কিন্তু কর বিল অনুযায়ী সম্ভাব্য বেশি সুবিধা পাওয়া কোম্পানির দিকেই ঝোঁক ছিল বিনিয়োগকারীদের। তাই এদিন প্রযুক্তি খাত ছেড়ে অনেকেই ব্যাংক ও খুচরা খাতে বিনিয়োগ করেছে। এর প্রভাব পড়েছে গতকাল মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারে। স্যামসাং ও ট্যানসেন্টসহ এশিয়ার বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে দরপতন হয়েছে।

দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে শনিবার বিতর্কিত কর সংস্কার বিলটি পাস করেন ওয়াশিংটনের আইনপ্রণেতারা। কর সংস্কার নিয়ে এ পদক্ষেপ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিটি চাঙ্গা করে তুলবে বলে মনে করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কর বিল পাসের পর সোমবার ডাও যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজের সূচক রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছায়। তবে নাসডাক সূচক পয়েন্ট প্রায় এক শতাংশ পড়ে যায়। এ পতনে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রযুক্তি খাতের পতন। বিনিয়োগকারীরা যেসব খাত করপোরেট কর হ্রাসের সুবিধা বেশি ভোগ করবে সেই খাতমুখী হয়। তাই প্রযুক্তি ছেড়ে ব্যাংক ও খুচরা খাতে বিনিয়োগ করে। সোমবার ডলারের দাম ইয়েন, ইউরো ও পাউন্ডের বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছায় ডলার। তবে হোয়াইট হাউজে কর সংস্কার বিলের একটি চূড়ান্ত খসড়া পাঠানোর আগে কংগ্রেসের উভয় কক্ষকে বিল নিয়ে চলমান বিরোধ মেটাতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা, যার কারণে লেনদেনকারীদের কিছুটা সংযত থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের পথেই হেঁটেছে গতকাল এশিয়ার পুঁজিবাজার। এদিন জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক দশমিক চার শতাংশ কমে ২৮ দশমিক ৮৪২ পয়েন্টে পৌঁছায়। চীনের সাংহাই সূচক দশমিক দুই শতাংশ কমে তিন হাজার ৩০৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করে। হংকংয়ের হ্যাং সেং এক শতাংশ কমে ২৮ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে পৌঁছায়। এছাড়া অয়েলিংটন, তাইপেই, জাকার্তা ও কুয়ালালামপুর পুঁজিবাজারও ছিল নি¤œমুখী। আর এ পতনে ভূমিকা রেখেছে প্রযুক্তি খাত। স্যামসাংয়ের শেয়ারদর কমেছে দশমিক দুই শতাংশ। ট্যানসেন্টের দর কমেছে তিন শতাংশের বেশি। এছাড়া শার্পের দর পতন হয়েছে দুই শতাংশের বেশি।

এসএমবিসি ফ্রেইন্ড সিকিউরিটির প্রধান বিশেষজ্ঞ তুসিকিও মাটসানো বলেন, ট্রাম্পের কর হ্রাস বিল অনুমোদনের প্রভাবে সব মিলিয়ে প্রযুক্তি খাত নি¤œমুখী ধারায় ছিল।

নিউইয়র্কভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কোম্পানি ওমান্ডা করপোরেশনের এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেডিংয়ের প্রধান স্টিফেন ইনস বলেন, যদি আইনটি দ্রুত অনুমোদন পায় তবে ডলারের মানে আরও একটি বাড়বে। কিন্তু যদি বিল পাসের বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয় তবে ডলার মান হারাবে।

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০