শেয়ার বিজ ডেস্ক: এশিয়ার শেয়ারবাজারে গতকাল সূচকের পতন দেখা গেছে। আর্থিক খাতে সপ্তাহব্যাপী চাঙা ভাবের পর গতকাল এ পতন দেখা দিল। এ চাঙা ভাবের কারণে ডলারের বাজারও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারগুলোর দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে প্যারোল ডাটার নবায়নের দিকে। খবর রয়টার্স।
গতকাল শুক্রবার জাপানে বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলো অপেক্ষাকৃত নীরব ছিল। জাপান ছাড়া অন্য স্থানে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সূচক এমএসসিআই’র দশমিক দুই শতাংশ পতন হয়েছে। পর্যায়ক্রমিকভাবে সপ্তাহের শেষ দিকে এটি আরও দুর্বল হতে থাকে। এ সময়ে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দামও দশমিক ১৬ শতাংশ কমে যায়।
দিনের শুরুতেই ইন্দোনেশিয়ায় শেয়ারবাজারের লেনদেন এক দশমিক পাঁচ শতাংশ কমে গেছে বলে ঘোষণা করেছে জেকেএসই। দক্ষিণ কোরিয়ার কেএস১-এর শেয়ার এক শতাংশ কমে গেছে। একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারও শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ কমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাকরিসংক্রান্ত তথ্যের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া এপ্রিলে শ্রমবাজার সূচকের নিচে নেমে গেছে। রয়টার্সের এক অর্থনৈতিক জরিপ অনুযায়ী, গত মাসে এক লাখ ৯২ হাজার কর্মসংস্থানের বিপরীতে অপ্রাতিষ্ঠানিক পে-রোল বেড়েছে, যেখানে মার্চে এ সংখ্যা ছিল এক লাখ তিন হাজার।
বিনিয়োগকারীরা মার্কিন-চীন আলোচনার ওপর নজর রাখছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ নিয়ে যে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব চলছে তার সমাধানের আশা খুব সামান্যই।
এদিকে চীনের শেয়ারবাজারও পতনের দিকে। সেখানকার ব্লু-চিপ সূচকে দেখা গেছে, সিএসআই৩০০-এর শূন্য দশমিক চার শতাংশ লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। সাংহাইয়ের এসএসইতে সূচকের মিশ্র অবস্থার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে এবং এসএসইসির লেনদেন শূন্য দশমিক তিন শতাংশ কমে গেছে।
ওয়াল স্ট্রিটের সপ্তাহব্যাপী বাজে অবস্থানের পর গত বৃহস্পতিবার কিছু হতাশাজনক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন আসার পর বিনিয়োগকারীরা খুব সতর্ক ছিলেন। একই সময় ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির বিস্ময়কর ধীরগতির পর বন্ড উৎপাদন কমে যায়। ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত বৈঠকের এক দিন পরেই সাম্প্রতিক চার মাসের মধ্যে মার্কিন ডলারের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থা।
এশিয়ার শেয়ারবাজারে সূচকের পতন
