এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড

বাংলাদেশের বিমা বাজারের পরিধি খুব একটা বড় নয়। বৈশ্বিক বিমা খাতের তুলনায় এর পরিসর অনেকটাই ছোট। বিশ্ব বিমা বাজারে মন্দাবস্থা দেখা গেলেও বাংলাদেশের ছোট পরিসরের বিমা বাজারে দৃশমান প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়। দেশের বিমা খাতের এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পেছনে যে কয়েকটি লাইফ ও নন-লাইফ বিমা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখছে, তার মধ্যে অন্যতম এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

২০০০ সালে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের পথচলা শুরু। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বিমা গ্রহীতাদের আস্থা অর্জন ও তাদের সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির সূত্রমতে, তৃতীয় প্রজন্মের এই নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধন ও ৪৭ কোটি ৭ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার হিসেবে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বর্তমানে পুঁজিবাজারে কেনাবেচা হচ্ছে।

এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, অর্থনীতিবিদসহ সরকারের সাবেক অর্থসচিব এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ও বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। শিল্পপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশের সিনিয়র চাটার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ও জাতীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ্ হারুন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কোম্পানিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। উদ্যোক্তা অংশের ৯ পরিচালক, জনগণের অংশের তিন পরিচালক ও দুই ইনডিপেনডেন্ট পরিচালক নিয়ে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পরিষদ গঠিত।

ব্যবস্থাপনা টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন মো. ইমাম শাহীন এবিআইএ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম শাহীন এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রভাষক ও পরামর্শক হিসেবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট রেখেছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয় ও ২২টি শাখা অফিসের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ দক্ষ কর্মী তাদের শ্রম, মেধা ও নিষ্ঠা দিয়ে কোম্পানিকে একটি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কোম্পানি সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন মো. আতিক উল্লাহ মজুমদার ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন মো. রফিকুল ইসলাম। এছাড়া অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রয়েছেন মো. এমদাদুল হক ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা কোম্পানির ব্যবসা উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মূল্যায়ন অনুযায়ী পাঁচ বছর ধরে উচ্চ দাবি পরিশোধের সামর্থ্যে ও আর্থিক সক্ষমতায় কোম্পানটি ‘এ+’ রেটিং অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছে। বিমার দায় গ্রহণ ও বিনিয়োগ ইতিবাচক থাকায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শেয়ারহোল্ডারদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দনীয় ও আকর্ষণীয় একটি শেয়ার হিসাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

প্রশিক্ষণ, পেশাগত ক্যারিয়ার উন্নয়ন, নমনীয় ও সময়োপযোগী কর্মপরিবেশ, কর্মদক্ষতা ও নৈপুণ্য মূল্যায়নের মাধ্যমে দক্ষ কর্মিবাহিনী গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স মানবসম্পদ উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, নৈতিক মানদণ্ড, সামাজিক দায়বদ্ধতা, দক্ষ দায় গ্রহণ, দ্রæত দাবি নিষ্পত্তি ও গ্রাহকসেবার মান অক্ষুন্ন রাখতে পারছে বলেই প্রতিষ্ঠানটি বিমা গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অর্জন ও আর্থিক ফলাফল সন্তোষজনক।

২০১৭ সালে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ব্যবসা অর্জনের ধারাবাহিক অগ্রগতি অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি যথাযথ পুনঃবিমা ব্যবস্থায় নিয়মিত দাবি পরিশোধে সচেষ্ট রয়েছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে রাজধানীর বাংলা মোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে নিজস্ব মালিকানাধীন ২১ হাজার ৫০৭ বর্গফুট অফিস স্পেসে রেজিস্টার্ড কার্যালয় স্থানান্তর করে সেখানে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড প্রধান ও স্থানীয় কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০