শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০২১ সালের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এক দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে ডিজিটাল রূপান্তর। এতে এ অঞ্চলের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার বাড়বে দশমিক আট শতাংশ। মাইক্রোসফট ও আইডিসি এশিয়া-প্যাসিফিকের অংশীদারিত্বে ‘আনলকিং দ্য ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অব ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন এশিয়া প্যাসিফিক’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এশিয়ার অর্থনীতিতে ডিজিটাল রূপান্তরের গতিতে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে বলে এ প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। প্রতিবেদন মতে, ২০১৭ সালে, এ অঞ্চলের জিডিপির ছয় শতাংশ ডিজিটাল পণ্য ও সেবা থেকে এসেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন- মোবিলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রযুক্তিগত পণ্য ও সেবা থেকে এশিয়ার জিডিপি ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এ অঞ্চলের ১৫টি দেশের মাঝারি ও বৃহৎ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৫৬০ জন ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত প্রণেতাদের নিয়ে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে। প্রথাগত ব্যবসায়িক মডেলে ডিজিটাল রূপান্তর দ্রুতগতিতে যে প্রভাব ফেলছে ও ব্যাপকভাবে ‘ডিজিটাল ডিসরাপশন’ হচ্ছে, এর ওপরে জোর দিয়ে জরিপটি পরিচালিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবসায়িক নেতারা তাদের প্রচেষ্টার থেকে ইতোমধ্যেই ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। এসব সুবিধার ফলে তারা আশা করছেন, ২০২০ সালের মধ্যে ডিজিটাল ক্ষেত্রে গ্রাহকসেবার বড় ধরনের মানোন্নয়নের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ উন্নতি ঘটবে।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়ার প্রেসিডেন্ট রালফ হপ্টার বলেন, ‘এশিয়া প্যাসিফিকের অর্থনীতিতে ডিজিটাল রূপান্তরের অত্যন্ত ইতিবাচক ও পরিমাপযোগ্য প্রভাব রয়েছে এবং এটা প্রায় সর্বব্যাপী স্বীকৃত যে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ডিজিটাল হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমাদের গ্রাহকরা তাদের জীবনে ক্রমবর্ধমান এসব প্রযুক্তি প্রাত্যহিক জীবনে ডিজিটাল রূপান্তরে ব্যবহার করছেন এবং যেটা আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল রূপান্তরে নেতারা তাদের উত্তরসূরিদের তুলনায় দ্বিগুণ সুবিধা পাবেন। এছাড়া ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং এশিয়ায স্মার্ট ও নিরাপদ শহরের মাধ্যমে নাগরিকরা উপকৃত হবেন।