নিজস্ব প্রতিবেদক: কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের করোনাকালে দেওয়া প্রণোদনা ঋণ প্যাকেজের সুবিধা বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ খাতের উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন দেওয়ার অনুপাত ৮০ শতাংশে উন্নীত করা হয়। তবে এ সুবিধা শুধু সেবা ও উৎপাদন খাতের উদ্যোক্তারাই পাবেন।
গতকাল এমন সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সিএমএসএমই খাতের উৎপাদন ও সেবা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক মোট ঋণ/বিনিয়োগের আনুপাতিক হার ৫০ ও ৩০ শতাংশ ছিল। এখন থেকে এই হার দুটি খাতের জন্যই সামগ্রিকভাবে ৮০ শতাংশে পুনর্বিন্যাস করা হলো।
এজন্য ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানে প্রদেয় ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ ওই প্রতিষ্ঠানের গত ডিসেম্বরভিত্তিক চলতি মূলধন বাবদ মঞ্জুরীকৃত/প্রদত্ত সীমার ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। নতুন ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় চলতি মূলধন বাবদ ঋণ/বিনিয়োগের প্রাপ্যতা সীমা নির্ধারণপূর্বক সর্বোচ্চ ৫২০ শতাংশ হবে।
বাংলাদেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্বাহী প্রধানদের কাছে প্রজ্ঞাপনটি পাঠানো হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়, নির্দেশনা জারির পর থেকেই তা কার্যকর হিসেবে গণ্য করা হবে।
জানা গেছে, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা বলে দাবি করে আসছেন উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি অর্থনীতিতে বিশেষ করে কর্মসংস্থানে সিএমএসএমই খাতের অবদান বেশি। কিন্তু এ খাতে ঋণ সুবিধা দিতে আগ্রহী নয় ব্যাংকাররা।
এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকই সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বৃদ্ধিতে দেশে প্রথমবারের মতো ক্রেডিট রিস্ক গ্যারান্টি চালু করেছে। এছাড়া ঋণ বিতরণ পর্যবেক্ষণে তদারকি বাড়িয়েছে। এতে ঋণ বিতরণও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে সম্প্রতি। প্রসঙ্গত, করোনাকালে ঘোষিত ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এ খাতে।