এসএমইতে বেড়েছে ব্যাংকঋণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণ বেড়েছে। ২০১৬ সালে এ খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ হাজার ৬৫ কোটি টাকা বা ২২ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। ২০১৫ সালে এসএমই ঋণ বিতরণ হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান বিনিয়োগ মন্দার মধ্যেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। ফলে এ খাতে বেড়েছে ঋণ বিতরণ। তবে এসএমইর নামে ঋণ নিয়ে যেন অন্য খাতে ব্যবহার না হয়, সে জন্য তদারকি ব্যবস্থাও জোরদার করার তাগিদ দেন তারা।

তথ্য মতে, ২০১৬ সালে এসএমই খাতে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বছর শেষে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। ওই সময়ে এসএমইতে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ হয়েছে ব্যবসা খাতে, আর সবচেয়ে কম সেবা খাতে। শুধু ব্যবসা খাতে এ ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৯০ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৭৩ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। এ ছাড়া সেবা খাতে এ সময় ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৬ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। গত বছর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে এসএমই ঋণ বিতরণ হয়েছিল ৩৫ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৪টি এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সর্বমোট এক লাখ ৪১ হাজার ৯৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এরমধ্যে ৪১ হাজার ৬৭৫টি এসএমই নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আলোচিত সময়ে এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৮ জন নতুন উদ্যোক্তার মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন নারী উদ্যোক্তা ১৩ হাজার ৭৪২ জন। নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিতরণ করা ঋণের হার আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। নারী উদ্যোক্তাদের বিরতণ করা ঋণ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হলেও তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত ঋণ মোট বিতরণের মাত্র ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

নারী উদ্যোক্তাদের বিতরণ করা ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কটেজ খাতের শিল্প উপখাতে ও নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের এ স্কিমের আওতায় প্রাপ্ত ঋণ গ্রহীতাদের সবার ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ২০১৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক হতে সিএমএসএমই খাতে এ ধরনের ঋণের রিপোর্টিং বন্ধ করে এবং হ্রাস করে সমন্বয় করা হয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে ঋণ প্রাপ্ত মোট উদ্যোক্তা নারী উদ্যোক্তা ও শিল্প খাতে মোট উদ্যোক্তার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তবে বাস্তবে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০