নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) থাবায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। কিন্তু এ সময়েও প্রাইম ব্যাংকের আমানত প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ হয়েছে। এমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ।
সম্প্রতি ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ উপলক্ষে অনলাইনের মাধ্যমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রাইম ব্যাংক একক ভিত্তিতে ৫১ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করে। আর এ সময়ে একক ভিত্তিতে পরিচালনা মুনাফা করেছে ১৬২ কোটি টাকা।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা, ২০১৯ সালে যা ছিল ৩৮ পয়সা। একক ভিত্তিতে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২৪ টাকা ১১ পয়সা এবং নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়ায় দুই টাকা ১৭ পয়সা।
রাহেল আহমেদ জানান, প্রাইম ব্যাংকের এমএসএমই খাতে পুরো সংস্কার করে নতুন মডেল আনা হয়েছে। এই খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ব্যাংক সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখছে। তাদের পুরো সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য আমানতও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে ই-ব্যাংকিং ও ডিজিটাল ফাইন্যান্সের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে। বর্তমানে ব্যাংকের মোট আমানতের ৬১ শতাংশই এ খাত থেকে এসেছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে ব্যাংক বিশেষ ব্যবসায়িক নীতিমালা নিতে যাচ্ছে।
ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকের মুনাফা এবং ঋণ বিতরণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি প্রভাব ফেলেছে সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নিয়ে আসার নির্দেশনা। তবে এই সংকট মোকাবিলায় সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে, যা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্যাংক খাত। এতে সরাসরি সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সিআরআর, পলিসি রেট, এডিআর-সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তৈরি করায় বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিজনিত সংকট মোকাবিলা আরও সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান, আলোচ্য সময়ে ৬৭ শতাংশ রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাইম ব্যাংকের।