নিজস্ব প্রতিবেদক: কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পের জন্য ঋণ বিতরণ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ২০২১ সালের জন্য জেলাভিত্তিক ‘লিড ব্যাংক’ ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেছে। যাতে ব্যাংকগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছোট আকারের উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণ করতে পারে। এ বিষয়ে গতকাল এক প্রজ্ঞাপন সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কোন জেলায় কোন ব্যাংকের নেতৃত্বে এ খাতের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে, তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর করণীয় সম্পর্কেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
করোনা মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু বারবার তাগাদা দিয়ে এবং সময় বাড়িয়েও এই ঋণ বিতরণের গতি বাড়ানো যায়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকার মতো বিতরণ করেছে। অর্থাৎ ততদিনে পূরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ। এ অবস্থায় সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে জেলাভিত্তিক ‘লিড ব্যাংক’ নির্ধারণের মাধ্যমে এ ক্যালেন্ডার তৈরি করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিএমএসএমই অর্থায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন নীতিমালা এবং কার্যক্রম-সংক্রান্ত তথ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে ‘লিড ব্যাংক’ নির্বাচন একটি কার্যকর পদ্ধতি। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ‘লিড ব্যাংক’ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব স্টেক হোল্ডারদের একটি প্ল্যাটফর্মে আনার মাধ্যমে নিবেদিতভাবে কাজ করে।
ফলে করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও সমন্বিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে ‘লিড ব্যাংক’ পদ্ধতি ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
জাতীয় এসএমই নীতিমালা-২০১৯ অনুযায়ী টেকসই ও কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতি জেলার জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মধ্য থেকে একটি ব্যাংককে এসএমই ‘লিড ব্যাংক’ হিসেবে নির্দিষ্ট করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এ ‘লিড ব্যাংক’ জেলাভিত্তিক এসএমই ঋণ পরিকল্পনার বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ‘কনসোর্টিয়াম লিডার’ হিসেবে কাজ করবে।