টেকনোলজি ব্যবহারের বিষয়ে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যার একটি হচ্ছে স্মার্ট গভর্ন্যান্স বা সুশাসন। আর অন্যটি হচ্ছে স্মার্ট ইকোনমি। সরকারের সংস্থাগুলোর প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জনগণের ভোগান্তি ও ব্যয় কমবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। ‘টেকনোলজি ফর স্মার্ট এসএমইএস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ভবনে এই সেমিনারের আয়োজন করা করে ডিসিসিআই। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক এবং সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কপোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিবিএল ফিনটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান।
শামসুল আরেফিন বলেন, এসএমই সেক্টরের টেকনোলজি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে টেকনোলজি ব্যবহারের চেষ্টা করছে সরকার। এরই মধ্যে সরকারি সেক্টরে টেকনোলজি ব্যবহারের বিষয়ে অনেক ধরনের কাজ হচ্ছে। এসএমই উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতি ও জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি হারে অবদান রেখে আসছে। তাই এসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের এসএমই উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি সাহসী। তারা নানা প্রতিকূলতা মেকাবিলা করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সক্ষমতা বাড়ানো গেলে অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
মাহবুবর রহমান বলেন, সারাদেশে আমাদের ৮৫টি কার্যালয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম রয়েছে, যেখান থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের পাঁচ শতাংশ হারে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। আমাদের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিসিক নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন সেবা প্ল্যাটফর্মে সিও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলমুল হক সজীব, বিডি জবস ডট কমের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা একেএম ফাহিম মাশরুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. বিএম মইনুল হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
সামীর সাত্তার বলেন, আমাদের ৯০ লাখ এসএমই উদ্যোক্তা কৃষি, পণ্য উৎপাদনসহ ব্যবসায়ের বিভিন্ন খাতে প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে এবং জিডিপিতে তাদের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। দেশের এসএমইগুলোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভবিষ্যতে স্মাট অর্থনীতিতে রূপান্তরে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সেমিনারে এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের মতামত ও অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।
