মন্ত্রিসভায় জাতীয় শিল্পনীতির আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) নীতিমালা ২০১৯-এর খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এতে স্টার্টআপ বা নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের নতুন সুবিধা দেওয়াসহ এসএমই খাতে নানা সহায়তাদানের সুযোগ রাখা রয়েছে।
নতুন নীতিমালায় ছয়টি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে:
১. বিনিয়োগকারীর অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ
২. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ
৩. বাজারে প্রবেশের সুযোগ
৪. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ
৫. ব্যবসায়ে সহায়তাদান
৬. তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ
এবারের নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে মাইক্রো বা অতি ক্ষুদ্র শিল্পকে যুক্ত করা হয়েছে।
নীতিমালায় নতুন বিষয়:
ক. বাস্তবায়ন কৌশলের আওতায় কৌশলগত এসএমইর অর্থপ্রাপ্তিতে এর সুযোগ বাড়ানো
খ. ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা
গ. এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড চালু করা। ফলে মর্টগেজের ব্যবস্থা থাকবে না
ঘ. স্টার্টআপের ক্ষেত্রে সহায়তা করা
ঙ. তথ্যপ্রযুক্তি, যেমন ই-কমার্স, অনলাইন সাপোর্ট, আউটসোর্সিং ও আইটিভিত্তিক অ্যাপের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা
চ. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ছয় ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়া:
# নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
# ঋণ দেওয়া
# তহবিল গঠন
# প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো
# উদ্বুদ্ধ করা
# কাজের জন্য বাজার সংযোগের সুযোগ বাড়ানো
ছ. ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজের
ব্যবস্থা রাখা
জ. পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা, শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া
ঝ. নীতি বাস্তবায়নে দুটি পর্ষদ গঠন করা। একটির নেতৃত্বে থাকবেন শিল্পমন্ত্রী। অন্যটিতে শিল্প সচিব
এসএমই নীতিমালা ২০১৯
