২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, মায়ানমারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৩৯ হাজার ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০ হাজার ৫৩৮টি ক্ষুদ্র ও ৮ হাজার ৪৭১টি মাঝারি।
মায়ানমারে ১৯৯০ সালের সংশোধিত শিল্প আইনে এসএমই নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী ক্ষুদ্র পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ৫০ জন কর্মী থাকতে হবে। সেখানে মূলধনের পরিমান ১ মিলিয়ন কিয়াট পর্যন্ত। আর বার্ষিক উৎপাদন সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন। মাঝারি প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারে ৫০ থেকে ১শ জন কর্মী। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে মূলধনের পরিমান ১ থেকে ৫ মিলিয়ন কিয়াট। বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা আড়াই থেকে ৫ মিলিয়ন কিয়াট।
তবে ২০১৫ সালের মার্চে এ আইনের সংশোধন করা হয়। তখন খসড়াভাবে ক্ষুদ্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছয়টি ভাগে করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্মান, পাইকারি, খুচরা ও সেবা খাত। নির্মান খাতে কর্মীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫০। অন্যান্য খাতে কর্মীর সংখ্যা ১ থেকে ৩০ জন। মূলধনের পরিমান ৫০০ মিলিয়ন কিয়াট পর্যন্ত। মাঝারি শিল্পের বেলায় এসব খাতে কর্মীর সংখ্যা ৫১ থেকে ৬শ জন। আর মূলধন ৫শ থেকে ১ হাজার মিলিয়ন কিয়াট।
এসএমই খাতে দক্ষ জনবল ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে দেশটি। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাদের সরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে প্রযুক্তিগত বিনিময় কর্মসূচী চালুর উদ্যোগ এর মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই-ই নয়, দেশে বিদেশে অবস্থান করা মায়ানমারের নাগরিকরা প্রযুক্তির বিষয়ে নতুন উদ্ভাবন করতে পারলে তাদেরকে রাস্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করার ঘোষনা দিয়েছে সরকার। নানা প্রশাসনিক অঞ্চলে পণ্য পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বি২বি বা বিজনেস টু বিজনেস পদ্ধতি চালু করতে চায় মায়ানমার সরকার। এর মধ্য দিয়ে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা সম্প্রসারনের চেষ্টা করবে তারা। এসএমই খাতের রফতানি বাড়াতে দেশটির সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে। এজন্য এ খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
এসএমই মিয়ানমার পরিপ্রেক্ষিত

Add Comment