জাবির হোসেইন: টেলিনর গ্রুপ ইউরেশিয়া অঞ্চলে গুগলের রিচ কমিউনিকেশন সার্ভিসেস বা আরসিএস সেবা চালু করতে চাচ্ছে। বিদ্যমান এসএমএস সার্ভিসের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এ আরসিএস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুগলের আরসিএস প্রযুক্তি সম্পন্ন হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের তুলনায় অনেক সেকেলে হয়ে পড়েছে এসএমএস সেবা। ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এসএমএসের পরিবর্তে উন্নত পরিষেবা সম্পন্ন আরসিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তবে এজন্য কিছুটা সময় লাগবে। এখনও এ প্রযুক্তির খুব একটা বিস্তার ঘটেনি। তাছাড়া এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে মোবাইলে একই অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে।
গুগলের পরিষেবা সংবলিত অ্যান্ড্রয়েড হ্যান্ডসেটের জন্য তৈরি করা হয়েছে আরসিএস প্রযুক্তি। মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি অ্যন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে বিশ্বে সবচেয়ে প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেম। এটি আরসিএস টেক্সট আদান-প্রদান করতে সক্ষম।
গত নভেম্বরে আমেরিকায় স্প্রিন্টের সঙ্গে ও ডিসেম্বরে কানাডায় রজারের সঙ্গে আরসিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে গুগল। এখন থেকে স্প্রিন্ট ও রজার তাদের গ্রাহকের জন্য আরসিএস সুবিধাসংবলিত উন্নতমানের মেসেজিং সেবা প্রদান করবে। একই সেবা প্রদান করবে টেলিনর। এশিয়া ও ইউরোপে টেলিনরই এ ধরনের সেবা চালু করতে যাচ্ছে।
নরওয়ের মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিনরের বর্তমান গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ২১ কোটি ৪ লাখ। নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে। কাজেই এ কোম্পানি যদি মেসেজিং সলিউশন হিসেবে আরসিএস প্রযুক্তি গ্রহণ করে তাহলে তা যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
এ সুবিধাসংবলিত ফোনগুলোতে ব্যবহারকারীরা গ্রুপ চ্যাট, হাই-রেজুলেশন ফটো প্রভৃতি ইত্যাদি সুবিধা পেতে চায়। এই ধরনের টেক্সটিং সুবিধাসম্পন্ন ফোন নিয়ে বাজারে আসে জাইবস আরসিএস ক্লাউড। এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা অধীগ্রহণ করে গুগল।
গুগলের এ সুবিধা, জিএসএমএ প্রযুক্তিতে চলা সব ফোনে সাপোর্ট করবে। জিএসএমএ প্রযুক্তি সারা পৃথিবীতে ৫৮টির বেশি ক্যারিয়ার ব্যবহার করে। এর বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার দশমিক ৭ বিলিয়নের বেশি।
জিএসএমএর সিটিও অ্যালেক্স সিনক্লেয়ার বলেন, ‘এ উদ্যোগ
প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতাকে ভীষণ সহজ ও তরান্বিত করবে। ভবিষ্যতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা কিভাবে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে তারও দিকনির্দেশনা দেবে।
গুগলের এ অবদানের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো তাদের ব্যবহারকারীর জন্য আরও উন্নতমানের মেসেজিং সেবা প্রদানে
সক্ষম হবে।’
বর্তমানে আরসিএস প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এসএমএস সার্ভিসের মতো ব্যবহার করতে চাইলে এর গুণগতমানের নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা আরো যুগোপযোগী হতে হবে।
Add Comment