Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:48 pm

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এসএসসি ও সমমানের চলতি বছরের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল রোববার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী পরীক্ষার এ ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার এ ফল প্রকাশিত হলো।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ছাত্র পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শতকরা ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ পেয়ে যশোর বোর্ড শীর্ষ স্থানে রয়েছে। সর্বনিম্ন সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিও-৫ প্রাপ্ত হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র, ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন ছাত্রী। মোট ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৭৯৯ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার নয়টি সাধারণ বোর্ড মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল (সব বোর্ড) পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৪ জন ও ছাত্রী ছিল ১০ লাখ ২৪ হাজার ৮০৩ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আট লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন ছাত্র, ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ ছাত্রী।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অংশ নেয়া মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৩৯৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ৭ লাখ ৫৭ হাজার ২১৮ ও ছাত্রী ছিল ৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৭৬ জন। মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ, ৪৫ হাজার ৬৭৮ জন। উত্তীর্ণ ছাত্রের সংখ্যা ছয় লাখ ২৩ হাজার ৮৫৩ জন, ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লাখ একুশ হাজার ৮২৫ জন। ৯টি সাধারণ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৫ জন। মোট ৭৪ হাজার ৬৭৭ জন ছাত্র ও ৮৯ হাজার ১৬৮ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এসব বোর্ডে মোট পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৪ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্র এবং ৭ হাজার ৪৬৭ জন ছাত্রী।

এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল (কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯২ হাজার ১৬৯ জন ও ছাত্রী ৩০ হাজার ৩৬৯ জন। মোট ৯৯ হাজার ৭২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্র ৭৯ দশমিক ১৯ ও ছাত্রী ৮৮ দশমিক ০৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৭ জন ছাত্র ও ২ হাজার ১৪১ জন ছাত্রী।

চলতি বছর মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৮৬১টি এবং ২০২৩ সালে মোট প্রতিষ্ঠান ছিল ২৯ হাজার ৭১৪টি। এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯৬৮টি ও গত বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৫৪টি। গত বছর শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৪৮টি ছিল। এ বছর শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫১।

এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ ও ২০২৩ সালে ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সব শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৫ হাজার ৯৪৭ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৯৭ হাজার ৯৭২ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৪ হাজার ৪৯১ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। বিগত বছরে জিপিএ ৫ ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন এবং জিপিএ পাসের সংখ্যা এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন, জিপিএ ৫ কমেছে ১ হাজার ৪৪৯ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৪৭টি এবং মোট কেন্দ্র কমেছে ১১টি।

বিদেশ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪৭ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ২৯৮ জন ও অনুত্তীর্ণ ৪৯ জন। শতকরা পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ মার্চ। মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।