নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব সচল করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগ। আদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে কোম্পানিটির ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যা নেই। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সেশন জজের আদালত ও বিএফআইইউ কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এর কারণ হিসেবে কোম্পানিটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আলোচিত কর্মকর্তা মতিউর রহমানের মালিকানার কথা বলা হয়। কিন্তু কোম্পানিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের কেউ পর্ষদে নেই এবং তাদের সরাসরি মালিকানাও নেই।
২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমসের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশাধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫০ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৮ কোটি ৪৭ লাখ।
এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৭ পয়সা। সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা,
আগের হিসাববছরে একই সময়ে যা ছিল ২১ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৩১ পয়সায়।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে একই সময়ে যা ছিল ৯০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৫৭ পয়সায়। ২০২২ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এর আগে ২০২১ হিসাববছরে ৫ শতাংশ, ২০২০ হিসাববছরে ১৫ শতাংশ, ২০১৯ হিসাববছরে ১০ শতাংশ ও ২০১৮ হিসাববছরে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।