নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টর (এসডিজি) লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের বার্তা একটাই, স্বকীয়তা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এমডিজি বা এসডিজির অনেক আগেই আওয়ামী লীগ সরকার তার নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে উন্নয়নের এ লক্ষ্য যুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হলো ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়া। তিনি বিগত ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছেন সেটি ধরে রাখতে হবে। এজন্য গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সর্বনিম্ন পর্যায়ে যে নাগরিক রয়েছে তাকেও সরকারি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা, যদি সেটি না পারি সেটি হবে আমাদের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, আমাদের এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে। সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। কোনো বর্গি যাতে হানা দিতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। এসডিজি বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পার দিক তুলে ধরে জিইডি সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া এসডিজির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বকে তিন থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তি ব্যয় করতে হবে। বাংলাদেশেরও বাড়তি ব্যয় করতে হবে জিডিপির হিসাবে প্রায় ২০ শতাংশ অর্থ।
মো. নজিবুর রহমান বলেন এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের আগামী ১৩ বছরে ৯২৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। এর বেশিরভাগ সংগ্রহ করতে হবে নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমে। তিনি বলেন, এসডিজিতে দেশগুলোর পারস্পরিক অংশিদারিত্ব ও সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিষয়টিও জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে হবে।
এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে
