নিজস্ব প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১১ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময় ছিল ৯ টাকা ৭৬ পয়সা (ঘাটতি)।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ ১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চার শতাংশ নগদ ও চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সেময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৩৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৩ টাকা ৫৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৪২ পয়সা (ঘাটতি)।
ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮১৬ কোটি তিন লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮১ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
