শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে সরকারের নজরদারির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে এস আলম এডিবল অয়েল মিল পরিদর্শন করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফয়েজুল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল মইজ্জার টেকে এস আলমের ওই মিলে অভিযানে যায়। সূত্র: বিডি নিউজ।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে সয়াবিন তেলের বোতলজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ দেখতে পান। তবে তাদের মিলে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল সরবরাহ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল। প্রতিদিন ট্রাকে করে সয়াবিন ও পাম তেল মিলের বাইরে যাচ্ছে।
উপ-পরিচালক ফয়েজুল্লাহ বলেন, ‘সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি বা মজুতের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা এ অভিযান চালিয়েছি। আমরা সেখানে সয়াবিন বোতলজাত করার কাজ বন্ধ দেখেছি। রিফাইনিং মেশিনের সার্ভিসিংয়ের জন্য বোতলজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তাদের তেল বোতলজাত প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।’
তবে কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়ে ফয়েজুল্লাহ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা ঢাকায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেব।’
ওই মিলে সয়াবিন তেলের ঘাটতি দেখেননি বলে জানিয়ে উপ-পরিচালক বলেন, ‘খোলা সয়াবিন ও পাম তেল নির্দিষ্ট ডিও অনুসারে মিলের বাইরে যাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ২৮০টির মতো ট্রাক মিল থেকে বাইরে যাচ্ছে বলে আমরা জেনেছি।’
অভিযানের সময় সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের একটি বোতলের গায়ে বাড়তি দাম লেখা দেখতে পেয়েছেন বলে জানিয়ে ফয়েজুল্লাহ বলেন, ওই বোতলের মোড়কে ৮৩৫ টাকা লেখা ছিল। কিন্তু সরকারি হিসাবে হওয়ার কথা ৭৯৫ টাকা। তিনি বলেন, ‘কারখানার লোকজন বলেছে, আগের হিসেবে মোড়কে এ দাম লেখা ছিল। সেসব বোতল বাজারে যায়নি। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি দেখতে পাওয়ায় তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামে সয়াবিন তেলের কোনো ‘ঘাটতি নেই’ বলে দাবি করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফয়েজুল্লাহ বলেন, ‘সরবরাহ এখন ঠিক আছে।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে কয়েক দিন ধরে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে বাজারে নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে গত বৃহস্পতিবার সয়াবিনে ২৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের ঘোষণা দেয় সরকার। পাশাপাশি বাজারে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে অভিযান শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।