Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:44 pm

‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত আনোয়ার গ্যালভানাইজিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

সূত্রমতে, কোম্পানি ৩০ জনু ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। এর ফলে ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির অধীনে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা ডাইরেকটিভ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/১৭৭ এবং বিএসইসির আদেশ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/১৭৮, তারিখ: ২৭-১০-২০১৫ অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটাগরিতে ওই সিকিউরিটি কেনার জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে। ক্যাটাগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এ ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ আজ থেকে পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৪২ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৯৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।

২০১৫ সালে ৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের চেয়ে দেড় শতাংশ বেশি। ওই সময় ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা এবং এনএভি ছিল আট টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৫০ পয়সা ও আট টাকা ১১ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭২ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে আট লাখ ৪৫ হাজার ৬২৯টি শেয়ার মোট ১২১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৭২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬২ টাকা থেকে ৮৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময় ১৮ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে চার পয়সা।

অন্যদিকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির এনএভি আট টাকা ৬৪ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে আট টাকা ৪২ পয়সা ছিল। তিন মাসে এনএভি ২২ পয়সা বেড়েছে। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।