নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের ক্যাটেগরি পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ‘বি’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন শুরু হবে। জানা গেছে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ এবং আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই কোম্পানিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তন হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ ও আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭১ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬২ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৫ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৯৭ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তথ্য জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৩৪ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস ৬৪ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৯৩ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৪ টাকা ৫ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং মোট দুই কোটি ৯৬ লাখ তিন হাজার ৩৭৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ছয় দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ২১ শতাংশ বা ৩ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩৭ টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৭ হাজার ২৯৬টি শেয়ার মোট ১৯১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৩২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৯৮ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।