Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 6:55 pm

‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হলো রবি আজিয়াটা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারের ক্যাটেগরি পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ‘বি’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন শুরু হবে। জানা গেছে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই কোম্পানিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তন হচ্ছে।

টেলিকমিউনিকেশনস খাতের প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ২২ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ছয় হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪২৯ কোটি তিন লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৭৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে আট দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়। দিনভর কোম্পানিটির মোট ৯ লাখ ৮ হাজার ৬২৩টি শেয়ার মোট ৯১৯ বার লেনদেন হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।