নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এন’ ক্যাটেগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়েছে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করায় কোম্পানিটির ক্যাটেগরি উন্নীত হয়। রোববার থেকে ক্যাটেগরিটি কার্যকর হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যেক্তা ও পরিচালকদের ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭৮ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৫ পয়সা।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৩ টাকা ১৪ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৩ টাকা ৮৬ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) হিসাবেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৭ পয়সা।
আর প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৬৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ৭৮ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১১ টাকা ৭৯ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ৬৮ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এনআরবি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬৯০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৬৯ কোটি ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২০০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৭৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ৩৮০টি শেয়ার মোট ২ হাজার ১৯২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।
