নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই) ৫০ পর্যন্ত হলেও মার্জিন ঋণ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। তবে শর্ত হচ্ছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা কিংবা তার বেশি হতে হবে। পাশাপাশি সর্বশেষ তিন বছর ‘এ’ ক্যাটেগরিতে থাকতে হবে। কিন্তু পিই ৫০-এর বেশি হলে আর মার্জিন ঋণ পাবেন না। বর্তমানে নিয়ম হচ্ছেÑ৪০ পিই বেশি থাকা কোনো কোম্পানিকে মার্জিন ঋণ দেয়া হয় না।
গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত জারি করা নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। সেই সঙ্গে নির্দেশনাটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই-সিএসই) পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিএসইসির নির্দেশনায় যেখানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এখন থেকে ‘কমিশন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) এটি উপযুক্ত বলে মনে করে যে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এবং সিকিউরিটিজ বাজারের উন্নয়নের জন্য, কিছু নির্দেশনা স্টক এক্সচেঞ্জে জারি করা হবে।
তাই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (অর্ডিন্যান্স নং ঢঠওও অব ১৯৬৯)-এর ধারা ২০-এ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে, কমিশন এতদ্বারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়।
বিএসইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জগুলো মার্জিন রুলসের অধীনে ৪০-এর ওপর পিইসহ ইক্যুইটি সিকিউরিটিজগুলো ‘মার্জিনেবল সিকিউরিটিজ’ হিসেবে গ্রহণ করবে না। উল্লিখিত সিকিউরিটিজ ক্রয় করার জন্য তাদের গ্রাহকদের ঋণ সুবিধা দেবে না। তবে শর্ত থাকে যে ইক্যুইটি সিকিউরিটিগুলোর মধ্যে যেগুলো ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবিলম্বে কমপক্ষে টানা তিন আর্থিক বছর ধরে রয়েছে। যার বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার কম নয় এবং পিই ৫০-এর বেশি নয়, পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো ‘মার্জিনেবল সিকিউরিটিজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়া ১৫ জুন, ২০১০ এবং আগের একই ধরনের পূর্ববর্তী নির্দেশাবলি বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
