‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে রানার অটোমোবাইলস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত হলো প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এছাড়া কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা দিলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ না করা হলে সে কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে স্থানান্তরিত হবে। তাই ‘এ’ ক্যাটেগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত হলো কোম্পানিটির শেয়ার। ‘জেড’ ক্যাটেগরির অধীনে গত ৯ অক্টোবর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে প্রথম ৩০ দিন নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালের ৩০ জুন হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৬২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩৮ টাকা ৩২ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৭২ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা ১৬ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৬ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৩১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৭৪ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৬ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ টাকা ৫৭ পয়সা।

ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৫ হাজার ১৬টি শেয়ার মোট ১৮১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ২০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২২ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০