নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে চলে গেল রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস: কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে চলে গেল। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এই ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩০ টাকা ৭০ পয়সা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ৬০ পযসা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৫২ হাজার ৯৬০টি শেয়ার ১৬৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ১০ পযসার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ছয় পয়সা বেড়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩১ টাকা তিন পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩০ টাকা ৭০ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৩০ টাকা ১২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৩ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির ১১ কোটি ৫৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ২৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।
ন্যাশনাল ফিড মিলস: কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে চলে গেল। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এই ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১৯ পয়সা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ১০ পযসা। দিনজুড়ে ৭৪ হাজার ৬৫৮টি শেয়ার ৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট লাখ ২৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে তিন পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস এক পয়সা বেড়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ১৩ টাকা ২২ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ১৩ টাকা ১৯ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে আট কোটি ১৩ লাখ টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮০ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২১ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭৯ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭১ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির আট কোটি সাত লাখ সাত হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার।

Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:32 am
‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে রিজেন্ট টেক্সটাইল ও ন্যাশনাল ফিড
পত্রিকা ♦ প্রকাশ: