নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাঝেমধ্যে ভাবতে কষ্ট হয়, এ দলও (বিএনপি) আবার ক্ষমতা চায়। এ দেশে হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়া কঠিন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে আবার গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এসব আমরা জানি। চক্রান্ত করে ক্ষমতার মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনাকে হটাবেন? মনে রাখবেন ফখরুল সাহেব, ১৯৭৫ আর ২০২৩ সাল এক নয়। ২০২৩ আর ২০০১ এক নয়। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল অস্বাভাবিক সরকার।
গতকাল রোববার বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শান্তি সমাবেশটি রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রধান বঙ্গভবনে শপথ নিয়েই নিয়মের তোয়াক্কা না করে ১৩ সচিবকে বরখাস্ত করল। বাংলার মানুষ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। সেই দিনই সাইকেল ফেডারেশন ভেঙে দিল, সাইকেল ফেডারেশনের সঙ্গে নির্বাচনের কী সম্পর্ক, মনে আছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আর কারও আমলে তা হয়নি। শেখ হাসিনাই প্রথম শান্তিপূর্ণ উপায়ে বঙ্গভবনে ক্ষমতা দিয়ে বাসায় ফিরে দেখেন গণভবনে বিদ্যুতের লাইন কাটা। পানির লাইন কাটা। টেলিফোনের লাইন কাটা।
নির্বাচনে না এলে জোর করে আনা হবে না বলে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হতে দেবেন না? কীভাবে হতে দেবেন না? কত ধানে কত চাল আমরাও দেখে নেব। ১০ ডিসেম্বর পল্টন থেকে গোলাপবাগে ভুয়া, কী হলো ২৭ দফা? কী হলো ১০ দফা? কী হলো ১২ দলের? কী হলো ২২ দলের? দল আর দল। ডামে-বামে একাকার। অতি বাম অতি ডান। তাদের যে ঐক্যজোট, এ জোট টিকবে? টেকার কোনো কারণ আছে? ভেতরে ভেতরে বাইরে যেতে চাও। দেখেন না কয় দিন টেকে। ভাঙনের সুর বেজে উঠেছে। ফখরুল সাহেব, আপনাদের দল আমরা ভাঙব না, জোটও আমরা ভাঙব না। বলতে চাই, আপনারা যে সংকটে আছেন আপনাদের জোট তাসের ঘরের মতো আপনারাই ভেঙে দেবেন। এ জোট বাংলাদেশে টিকে না, টিকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি খেলতে না পারলে কী করব? নির্বাচন যারা প্রতিহত করতে আসবে, তাদের সঙ্গে হবে খেলা, হবে মোকাবিলা। প্রস্তুত আছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। চক্রান্তের রাজনীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা বিজয়ী হবে।