Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 12:51 am

এ বাজেট জীবন, জীবিকার ও ব্যবসাবান্ধব: চিটাগং চেম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের প্রেক্ষিতে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত এ বাজেটকে জীবন ও জীবিকার বাজেট, ব্যবসাবান্ধব এবং জনবান্ধব হিসেবে উল্লেখ করে এ বাজেট অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাজেটে মোট ব্যয় পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, মোট আয় তিন লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা এবং ঘাটতি এক লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করার জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সময়োপযোগী। স্বাস্থ্য খাতে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ও কৃষি খাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে ৯৫ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান ইতিবাচক। তবে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আয়কর থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা, মূসক থেকে এক লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ২০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি, সর্বনি¤œ কর হ্রাস করে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ এবং সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করায় করদাতাদের উৎসাহিত করবে। মহামারির কারণে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ করদাতাদের জরিমানা ও সুদ ব্যতীত সময়সীমা বৃদ্ধি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

কৃষি খাতে পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, রোটারি টিলার প্রভৃতি যন্ত্রপাতি আমদানিতে মূসক অব্যাহতি প্রশংসনীয়। এ খাতের প্রধান উপকরণ সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখা এবং রেয়াতি শুল্ক হারে কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি সুবিধা সম্প্রসারণ বর্তমান পরিস্থিতি এ খাতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমদানির ওপর শুল্কারোপ চাষিদের উৎসাহিত করবে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য দেশে উৎপাদিত পিপিই, মাস্ক প্রভৃতি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি এবং পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রভৃতি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহƒত কাঁচামাল আমদানির ওপর সমুদয় শুল্ককর মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া কভিড-১৯ মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা এই ভাইরাস মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০টি উপজেলায় সব দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে এবং পাঁচ লাখ নতুন উপকারভোগীর জন্য ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হবে। প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৮ লক্ষ্যে উন্নীত করা হবে এবং এ বাবদ ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হবে। এসব কর্মসূচি দেশের অতি দরিদ্র মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সহায়ক হবে।