ঐতিহ্যের আহসান মঞ্জিল

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে প্রাচীন আমলের স্থাপত্য নিদর্শন। এর মধ্যে অন্যতম আহসান মঞ্জিল। বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত নবাব আমলের এ স্থাপত্য ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনায় থাকে সব সময় সরব। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোয় দর্শনার্থীর ঢল নামে এখানে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তৎকালীন জামালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার বুড়িগঙ্গার তীরে একটি রঙমহল তৈরি করেন। তার মৃত্যুর পর ছেলে মতিউল্লাহ মহলটি একজন ফরাসি বণিকের কাছে বিক্রি করে দেন। বণিকরা ১৮৩৫ সালে স্থাপত্যটি বিক্রি করে দেন খাজা আলিমুল্লাহর কাছে। পরবর্তী সময়ে তার ছেলে নবাব আবদুল গনি নতুন রূপ দেন ভবনটিকে। তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে স্থাপত্যটি ‘আহসান মঞ্জিল’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

ভবন সম্পর্কে

দ্বিতল ভবন আহসান মঞ্জিল। মূল ভবনের ভেতরটা দুই ভাগে বিভক্ত। প্রবেশের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় দরজা। রয়েছে সুদৃশ্য সিঁড়ি। এর বারান্দা ও মেঝে মার্বেল পাথরের। কক্ষের আকৃতি অষ্টকোণা। পুরো ভবনের ছাদ কাঠের তৈরি। পূর্বদিকে বড় খাবার ঘর। উত্তরদিকে গ্রন্থাগার। পশ্চিমে জলসাঘর। নিচতলায় রয়েছে বিলিয়ার্ড খেলার জন্য আলাদা জায়গা। দরবার হলটি সাদা, সবুজ ও হলুদ পাথরের। দোতলায় বৈঠকখানা, গ্রন্থাগার আর তিনটি মেহমানকক্ষ। পশ্চিম দিকে আছে নাচঘর ও কয়েকটি আবাসিক কক্ষ। এখানে একটি জাদুঘর রয়েছে। আহসান মঞ্জিলের তোষাখানা ক্রোকারিজ কক্ষের তৈজসপত্র ও নওয়াব এস্টেটের পুরোনো অফিস অ্যাডওয়ার্ড হাউজ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। জাদুঘরে সংগৃহীত নিদর্শন সংখ্যা চার হাজার সাতটি।

প্রবেশের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর বাইরে অন্য সরকারি ছুটির দিনও বন্ধ থাকে।

গ্রীষ্মকালীন সূচি: এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শনি থেকে বুধবার থাকে এ সূচি। শুক্রবার সূচি পরিবর্তন হয়ে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

শীতকালীন সূচি: অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শনি থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে মঞ্জিলের দুয়ার। আর শুক্রবার খোলা থাকে দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

 

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০